টাইফয়েড হল একধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রান্ত ইনফেকশন যার জন্য তিব্র জ্বর, বমি আর ডায়রিয়ার হয় ,আর এর জন্য যে ব্যাকটেরিয়া দায়ি থাকে তার নাম হল সালমনেলা টাইফি ( S. Typhi ) । যদি এই ব্যাকটেরিয়ার সংঙ্ক্রমন নির্ধারিত সময়ে শনাক্ত করা যায়, তবে চিকিৎসার দারা এর নিরাময় তেমন একটা কঠিন ব্যপার নয় । কিন্তু সঠিক সময়ে টাইফয়েড শনাক্ত না হলে অনেক ক্ষেত্রেই মারাত্মক হতে পারে।
টাইফয়েডর কারন
টাইফয়েড এর ব্যাকটেরিয়া সালমনেলা টাইফি ( S. Typhi ) একজন মানুষের শরীরে সাধারণত দূষিত খাবার আর জলর মাধ্যমে প্রবেশ করে। এছাড়াও একজন ব্যক্তির অজান্তে তার শরীরে যদি এই ব্যাকটেরিয়া থাকে তাহলে তা এক দেহ থেকে অন্য দেহেও ছড়িয়ে যেতে পারে । বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১১-২০ মিলিয়ন মানুষের প্রত্যেক বছরে টাইফয়েড শনাক্ত করা হয়ে থাকে এবং এই সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলছে ।
টাইফয়েডের লক্ষণ
টাইফয়েড এর ব্যাক্টেরিয়া ( S. Typhi ) মানুষের পাকস্থলী তে ১-৩ সপ্তাহ থাকে। আস্তে আস্তে সেখান থেকে রক্তে মিশে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যায়। এই প্রক্রিয়া আপনার যদি শরীরে হয় তাহলে আপনার হজম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে । ব্যাক্টেরিয়া ( S. Typhi ) ইনফেকশন এর পর উপসর্গ গুলো সাধারনত ১-৩ সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয়।
টাইফয়েড হলে সাধারণত জ্বর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় আর সেটা আসতে আসতে তিব্রতা ১০৪°F বা তার বেশি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে তাছাড়া জ্বর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘারে এবং পেটে গোলাপী রঙের ফুসকুড়ি ফুটে ওঠে ।
এ ছাড়াও আরো কিছু উপসর্গ লক্ষ করা যেতে পারে , যেমন –
- ডায়রিয়া
- খেতে ইচ্ছা না থাকা
- বমি বমি ভাব।
- শারীরিক দুর্বলতা
- পেটে ব্যাথা সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য।
- মাথা যন্ত্রণা।
টাইফয়েডের চিকিৎসা
- সাধারণত ডাক্তার নিয়মিত ভাবে জ্বর বাড়তে দেখলে আর ওই ফুসকুড়ি দেখলে আপনাকে কিছু পরীক্ষা করতে বলবেন আর সেই পরীক্ষার ফলাফল থেকে ডাক্তার আপনার শরীরে সেই ব্যাকটেরিয়া রয়ছে কিনা তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন ।
- আর টাইফয়েড শনাক্ত হলে তার একমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধ দারা করবেন, তাছাড়া ডাক্তার আপনাকে বেশি জল পান করা , ফ্লুয়িড জাতীয় খাবার আর প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে বলতে পরেন। এছাড়াও এই রোগ কে নিয়ন্ত্রন করার জন্য প্রয়োজনে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়ে থাকে ।
- যেহেতু টাইফয়েডের ব্যাক্টেরিয়া অপরিষ্কার জলের উৎস , খাবার ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায় এবং অপরিষ্কার খাবার বা দূষিত জল পান করলে এই রোগর সম্ভবনা বেড়ে যায় । তাই বাড়ির চারপাশ , জলের উৎস পরিস্কার পরিছন্ন রাখলে, খাবার কে সুরক্ষিত ভাবে পরিবেশন করলে এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।
Amarendra Haldar is An Nutritionist ( Currently Pursuing M.Sc in Diet And Food Service Management ) And Founder Of NutritionBangla.com , Also He is Working as a Health Wellness Blogger in Several Websites. |