Copy of Add a little bit of body text 33

গলব্লাডার স্টোন এর কারন,লক্ষণ এবং এর প্রতিকার

গলব্লাডার আমাদের শরীরের একটা ছোটো অঙ্গ যা পেটে লিভারের নিচে অবস্থিত, এটি একটি পিত্ত সংরক্ষণের থলি এবং এই পিত্ত এক হলদেটে সবুজ তরল যা আমাদের কে হজম ক্ষমতা কে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

গলব্লাডার এ সাধারণত সমস্যা তখন ঘটে যখন তার পিত্ত নালি কোনো কিছুর দ্বারা ব্লক হয়ে যায়,যেমন গলব্লাডার স্টোন। আর এই স্টোন তখন তৈরি হয় হয় যখন আমাদের খাদ্যে পাওয়া পদার্থ যেমন কোলেস্টরল শক্ত হয়ে দেলা বেধে যায়।

গলব্লাডার স্টোন হলে সেটা সাধারণত উপসর্গবিহীন। কিন্তু ১০% লোক যাদের গলব্লাডার এ স্টোন হয় তাদের সেটা তৈরি হবার ৫ বছরের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা দেবার সম্ভাবনা থাকে ।

গলব্লাডার স্টোন এর লক্ষন

আপনার গলব্লাডার এ স্টোন তৈরি হলে আপনার পেটের ওপরে বা মাঝের দিকে আপনি ব্যাথা অনুভব করতে পারবেন। এই ব্যাথা আপনার মাঝে মধ্যে হতে পারে । আপনি যদি চর্বিযুক্ত খাবার বা ফাস্ট ফুড বেশি পরিমাণে খান তাহলে এই অসুখের প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে ব্যাথা প্রায়  যেকোনো সময় তেই হতে পরে।

গলব্লাডার এ স্টোন থাকলে সেটা যদি ধরা না পড়ে বা চিকিৎসা না হয় তা হলে তার বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন-

  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।
  • হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।
  • জন্ডিস হয়ে চোখ এবং গায়ের চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া।
  • ত্বক চুলকানো ।
  • শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া ।
  • মনে মনে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া ।
  • খিদে না পাওয়া।

আপনার এর মধ্যে যেকোনো একটা সমস্যা থাকলেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

জেনেরাখা ভালো উপরের উপসর্গ গুলো গলব্লাডার স্টোন বা গলব্লাডার বেড়ে যাওয়া ছাড়াও লিভার বা প্যানক্রিয়াস এর সমস্যায়ও দেখা দিতে পারে।

উপসর্গ বিহীন গলব্লাডার স্টোন

গলব্লাডার এ তৈরি হওয়া স্টোন নিজে কোনো ব্যাথা সৃষ্টি করে না। ব্যাথা আপনার তখন হয় যখন সেই স্টোন গলব্লাডার এ পিত্ত চলাচল এর বাধা সৃষ্টি করে।

সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যায় প্রায় ৮০% লোক যাদের গলব্লাডার এ স্টোন রয়ছে তাদের উপসর্গ বিহীন গলব্লাডার স্টোন। এর মানে তারা ব্যাথা অনুভব করে না বা অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না এই ক্ষেত্রে আপনার এক্সরে করা হলে বা পেটে কোনো অপারেশন করলে তখন এই গলব্লাডার স্টোন ধরা পড়তে পারে।

গলব্লাডার স্টোন এর কারন

গলব্লাডার স্টোন শরীরে তৈরি হবার প্রধান কারণ হিসেবে পিত্ত থলির মধ্যে পিত্তের ভারসাম্যহীনতা কে ধরা হয়। কিন্তু গবেষকরা এখনও স্পষ্ট নির্ধারণ করতে পারে না ঠিক কি কারণে এই ভারসাম্যহীনতা ঘটে। তাদের মতে এর কিছু সম্ভব কারণ রয়ছে।

  • আপনার খাবারে যদি কোলেস্টরল এর মাত্রা বেশি থাকে তা ছোটো ছোটো হলুদ কোলেস্টরল পাথরে পরিনত হতে থাকে এবং আপনার লিভার যদি সেই কোলেস্টরল স্টোন গুলো গলাতে সক্ষম না হয় তবে সেটা গলব্লাডার স্টোন এ পরিনত হতে পারে।
  • আপনার খাদ্যে যদি বেশি বিলিরুবিন তৈরি হয় যা রক্তের কোষের মাধ্যমে লিভারের সাহায্যে বের হয় আর সেই বিলুবিন পুরো টা বেরোতে না পারলে সেটাও গলব্লাডার স্টোন তৈরির কারণ হতে পারে। আপনার লিভারে সমস্যা বা রক্তের সমস্যা থাকলে আপনার গলব্লাডার এ স্টোন হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
  • আপনার গলব্লাডার ঠিক ভাবে কাজ করবার জন্য সেটা ফাঁকা থাকা প্রয়োজন যদি আপনি অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন আর আপনার পিত্তথলি ভর্তি হয়ে যায় তাহলে  আপনার গলব্লাডার ঠিক ভাবে কাজ করে না আর সেই পিত্ত ঘনীভূত হয়ে গলব্লাডারে স্টোন হয় উঠতে পরে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

You cannot copy content of this page