অ্যনোরেক্সিয়া নার্ভোসা , একটি খাদ্যভাস জনিত মানসিক ডিসঅর্ডার যেখানে রোগী ওজন বেড়ে যাওয়ায় ভয়ে খাবার কম খেতে পছন্দ করেন । এক্ষেত্রে প্রতিদিন খাবার কম খাওয়ার ফলে ব্যাক্তির ওজন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হয়ে যায় এবং অপুষ্টির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তাছাড়া এর ফলে মানসিক স্ট্রেস বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় এমনকি সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করালে এটি মৃত্যুর কারনও হয়ে উঠতে পারে ।
এই রোগ পুরুষদের থেকে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে কিশোর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে ১৯৩০ সাল থেকে ১৫-২০ বছর বয়সী কিশোর-কিশশোরীদের মধ্যে অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা প্রত্যেক ১০ বছরে বেড়ে চলেছে ।
অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এর কারন
গবেষকরা এখনো কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে নি যে কেনো হয় অ্যানোরেক্সিয়া। তবে এটা শুরু হয় রেগুলার ডায়েটিং থেকে। যাদের অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা হয় তারা বেশিরভাগ এমন পরিবার থেকে আসে যাদের পরিবারগত শারারিক সমস্যা রয়ছে। এর মধ্যে হতে পারে ওজন এর সমস্যা ,বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, ডিপ্রেশন এর মত মানসিক সমস্যা । তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের নেশা এবং মাদক দ্রব্য এর কারন হতে পারে ।
অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এর লক্ষণ
কীভাবে বুঝবেন আপনার অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা আছে কি না? সঠিক ভাবে বোঝার সেরকম কোনো উপায় নেই কিন্তু আপনার ওজনের সমস্যা বা শারীরিক অথবা মানসিক সমস্যার কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন
◆ওজন কমে যেতে পারে।
◆মোটা হয়ে যাবার খুব ভয় লাগতে থাকে
◆খেতে ইচ্ছা করবে না।
◆ডিহাইড্রেশন এর কবলে পড়তে পারেন
◆পেট ব্যাথা করতে পারে।
◆ঠান্ডা সহ্য করতে পারবেন না।
◆ত্বক হলুদ হয়ে শুকিয়ে যেতে পারে।
◆চুল বা নোখ পাতলা হয়ে যেতে পারে।
◆এ ছাড়াও আপনি ডিপ্রেসন বা মুড সুইং এর কবলে পড়তে পারেন।
অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এর ফলে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে
অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা থেকে পরবর্তী তে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে তা হলো –
◆অ্যানিমিয়া
◆হৃদয় এর সমস্যা
◆কিডনি সমস্যা
◆হাড় ক্ষয়ে যাওয়া
◆রক্ত চাপ কমে যাওয়া
◆পারিবারিক অশান্তি।
◆জিন গত সমস্যা।
◆মস্তিষ্ক ঠিক ভাবে কাজ না করা।
◆মনোভাবের সমস্যা।
◆শারারীক বৃদ্ধির সমস্যা।
◆এ ছাড়া খেলাধুলা করবার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে অ্যানোরেক্সিয়া।
অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এর প্রতিকার
কোনো বাচ্চার এই সমস্যা গুলো থাকলে তার সেই ব্যাপারে বাড়ির লোক, টিচার বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এই রোগের সময় থাকতেই চিকিৎসা হলে অনেক শারীরিক সমস্যা কমে যাবে। এই রোগ থাকলে ডাক্তার আপনার শারীরিক এবং মানসিক টেস্ট নেবে আর তার পর কিছু সাইকোলজিক্যাল টেস্ট করতে দিতে পারে। আপনার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা কি সেটার ওপর ভিত্তি করে এটার ট্রিটমেন্ট করা হয়ে থাকে। নিউট্রিশন কাউন্সেলিং করা হবে যাতে আপনার ওজন বৃদ্ধি হয়। এর আর সাথে থেরাপি এবং ওসুধ দিয়েও এর চিকিৎসা হয়।