আমাদের শরীরে উপস্থিত মিনারেলস এর মধ্যে মাত্র ২% মিনারেলস হল সোডিয়াম , সোডিয়াম সাধারনত আমরা লবনের মাধ্যমে পেয়ে থাকি তাছাড়া সোডিয়ামের আরও বিভিন্ন উৎস রয়েছে ।
সোডিয়ামের উৎস
আমাদের শরীরে ৪০% সোডিয়াম বিভিন্ন খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে নিয়মিত প্রবেশ করে যা প্রধানত এই দশটি খাবারের মধ্যে থাকে। অনেকেই এই দশটি খাবারের নাম জানেন, যা স্বাদে সবসময় নোনতা হয় না।
- রুটি বা পাউরুটি
- পিৎজা
- স্যান্ডউইচ
- মাছ বা মাংস
- স্যুপ
- চিজ
- ডিম বা অমলেট
- ট্যাকো, ব্যুরিটস
- এছাড়াও নোনতা জাতীয় স্ন্যাকসের মধ্যেও সোডিয়াম থাকে। যেমন- চিপস, পপকর্ন, ক্র্যাকারস ইত্যাদি।
মানবদেহে সোডিয়ামের কাজ
মানুষের দেহে অল্প সোডিয়াম এর প্রয়োজন যা আমাদের স্নায়ুর আবেগ সঞ্চালন, পেশী সংকোচন ও শিথিল করতে এবং তার সঙ্গে শরীরের জল ও বাকি খনিজ গুলির সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য খুব জরুরী।
সোডিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ
রক্তে সোডিয়াম অতিরিক্ত পরিমাণে কমে গেলে হাইপোনাট্রেমিয়া (Hyponatremia) নামক রোগ হয় যা আমাদের শরীরে জল এবং খনিজ পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট করে। এই রোগের উপসর্গ গুলি হল-
- বমি বমি ভাব ।
- মাথা যন্ত্রণা ।
- এনার্জি কমে যাওয় ।
- পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া ।
- কনফিউশন ।
- এই রোগ বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে গেলে মানুষ কোমায় চলে যেতে পারে।
সোডিয়ামের বৃদ্ধিজনিত লক্ষণ
শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে হাইপারনেট্রেমিয়া (Hypernatremia) বলে যার উপসর্গ গুলি হল-
- তেষ্টা বেড়ে যাওয়া ।
- প্রসাব কমে যাওয়া ।
- ডাইরিয়া ।
- পেশিতে টান ধরা ।
- বার বার বমি হওয়া, বা কিছু খেলেই বমির ভাব ।
- ঘন ঘন জ্বর আসা ।
- উচ্চ রক্ত চাপ ( High Blood Pressure )
মানবদেহে সোডিয়ামের দৈনিক চাহিদা
যে কোনো সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে 500mg সোডিয়াম প্রতিদিন প্রয়োজন।