মানব দেহের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান হল ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়ামের অভাবে মানব দেহে অস্টিওপরোসিস এর মতো বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। আজকের আলোচনায় চলুন জেনে নেওয়া যাক, মানবদেহে ক্যালসিয়ামের অভাব কেন হয়? ক্যালসিয়ামের অভাবে কি কি রোগের সৃষ্টি হয়? মানব দেহে কত মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়? ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণের জন্য আমাদের চারপাশের উদ্ভিজ্জ ও প্রানীজ উৎস গুলো কী কী ?
ক্যালসিয়ামের অভাব কেন হয়
ক্যালসিয়ামের অভাবের মূল কারণ নিত্য দিনের জীবন যাপনে সঠিক ডায়েট ফলো না করা
অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম,ও অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়।
প্রচুর পরিমাণে সফট ড্রিংক পান করলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
মহিলাদের মেনোপজের সময় ক্যালসিয়ামের হ্রাস ঘটে।
অতিরিক্ত চিনি,লবন,অ্যলকোহল জাতীয় খাবার খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
ক্যালসিয়ামের অভাবে কী কী রোগের সৃষ্টি হয়
ক্যালসিয়ামের অভাবে ছোটদের রিকেট রোগ হয়। এছাড়া মহিলাদের বয়স 40 হলে অস্টিওপোরোসিস ও অস্টিওপেনিয়া হতে পারে। তাছাড়া পেশীর খিঁচুনি, হাড় ও দাঁতের ক্ষয়, ভঙ্গুর নখ, শুষ্ক ত্বক, অল্প আঘাতের কারণে মহিলাদের দেহের হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
মানব দেহে কত মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়
- একটি শিশুর জন্মানোর সময় থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিশুদের ২০০ মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়ামের।
- ৭ থেকে ১২ মাস ২৬০ মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়াম।
- ১থেকে ৩ বছরের ৭০০ মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়াম।
- ৪ থেকে ৮ বছরের ১০০০মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়াম।
- ৯ থেকে ১৮ বছরের ১৩০০ মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়াম।
- ১৯ থেকে ৫০ বছরের ১০০০ মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়াম।
- ৫১ থেকে ৭০ বছরের বয়স্ক পুরুষদের ১০০০ মিলিগ্ৰাম।
- ৫১ থেকে ৭০ বছরের বয়স্ক মহিলাদের ১২০০মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়।
ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণের জন্য আমাদের চারপাশের উদ্ভিজ্জ ও প্রানীজ উৎস
দুগ্ধজাত খাবার: দুধ,পনির,দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
পালং শাক: এক কাপ পালং শাক ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী ২৫ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে।
বাদাম জাতীয় খাবার: আমন্ড, আখরোট ও চিনি বাদামে ক্যআলসইয়আম,ম্যাগনেশসিয়াম, ফসফরাস থাকে।ম্যাগনেশসিয়াম হাড়ের ক্যআলসইয়আম শোষনের সাহায্য করে। এক কাপ আমন্ডএ ২৪৬ মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়াম থাকে।
কমলা লেব: কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে। কমলা লেবু নিয়মিত খেলে অস্টিওপোরোসিস রোগের ঝুকি কমানো যায়।
ব্রকোলি: ব্রকোলিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার এবং আয়রন।সয়াবিন: সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম থাকে।
ডুমুর: ডুমুর পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। পটাশিয়াম শরীরে ক্যালসিয়াম শোষনে সাহায্য করে।
গুড়: ১০০ গ্ৰাম গুড়ে থাকে ৩৬৩ মিলিগ্ৰাম ক্যালসিয়াম।
সাদা তিল:সাদা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস,জিঙ্ক।
সামুদ্রিক মাছ:সামুদ্রিক ছোট মাছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
Health And Wellness Blogger