কাঁঠাল গ্রীষ্মকালীন ফল। গ্রীষ্মকালে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল পাওয়া যায় যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই গ্রীষ্মের মরসুমে এটি বাজারে সহজেই পাওয়া যায়।
আমাদের খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল থাকা উচিত। কাঁঠালের উপকারিতা আমরা সবাই জানি। আজকে আমি কাঁঠালের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরছি, যা খুবই কম জানা যায়।
চলুন দেখে নেই কাঁঠালের বীজের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ। প্রতি 100 গ্রাম বীজে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ = 25.8 থেকে 38.4 গ্রাম এবং প্রোটিন = 6.6-7.04 গ্রাম।
বীজগুলি খাদ্যতালিকাগত ফাইবার এবং বি ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং তাদের উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে, তারা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কাঁঠালের বীজে প্রতিরোধী স্টার্চও রয়েছে, যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখে৷ এই বীজগুলিতে প্রচুর পরিমাণে থায়ামিন এবং রিবোফ্লাভিন রয়েছে যা আপনার খাওয়া খাবারকে শক্তিতে পরিণত করতে এবং আপনার চোখ, ত্বক এবং চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে৷ এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ডিএনএর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এতে ব্যাকটেরিয়া বিরোধী প্রভাব থাকতে পারে এবং সাধারণ ই. কোলাই থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এটি প্রাচীনকালের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হত, যা ডায়রিয়া থেকে মুক্তি দেয়।
এটিতে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, বিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন এবং ফেনোলিক্স। এটি রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। কাঁঠাল যেমন ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার তাই দৃষ্টিশক্তির উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এখন দেখা যাক কিভাবে আমাদের প্রতিদিনের খাবারে কাঁঠালের বীজ থাকতে পারে –
1. সিদ্ধ বীজ এবং বীজের গুঁড়া রাতকানা এবং জেরোপথালমিয়ার মতো চোখের রোগ প্রতিরোধ করে।
2. ঘিতে বীজ ভাজুন এবং কিছু লবণ ছিটিয়ে চা নাস্তা হিসাবে গ্রহণ করুন।
3. মিক্স সবজিতে ব্যবহার করুন।
4. সাধারণ ভাতের সাথে সিদ্ধ বীজ খুবই সুস্বাদু।
তাই এর বীজ সহ ঋতুকালীন কাঁঠাল উপভোগ করুন, এবং এর পুষ্টিগুণ দিয়ে আপনার ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখুন।
Awesome information packed article ..keep going & keep us informed with all these amazing nutritional benefited info