ক্যালসিয়াম হল ম্যাক্রোমিনারেল যা আমাদের দেহে উপস্থিত সবকটি মিনারেলস এর মধ্যে সবচাইতে বেশী পরিমানে থাকে । আমাদের দেহের মোট ওজনের ১.২% ক্যালসিয়াম রয়েছে । আমাদের শরীরে উপস্থিত মোট ক্যালসিয়াম এর ৯৯% শরীরের সমস্ত হাড় এবং দাঁতে থাকে বাকি ১% ক্যালসিয়াম রক্তে উপস্থিত থাকে ।
ক্যালসিয়াম এর উৎস
ক্যালসিয়াম এর প্রাণীজ উৎস
দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য , মাছ , সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদি ।
ক্যালসিয়াম এর উদ্ভিজ উৎস
ডাল ,শস্য ও বাদাম জাতীয় খাবার, সবুজ শাকসব্জি ইত্যাদি ।
ক্যালসিয়াম এর কাজ
- হাড় এবং দাঁতের বিকাশ,বৃদ্ধি এবং সঠিক ভাবে সেটার সঞ্চালনের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।
- বাচ্চাদের মধ্যে ক্যালশিয়াম তাদের চেহারা, হাড়, দাত এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।
- শারীরিক পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রণের জন্যে ক্যালশিয়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম প্রোটিন কে সাহায্য করে শরীরের ছড়িয়ে পড়তে। সেই প্রোটিন সাহায্য করে পেশী কে স্নায়ুর সাহায্যে পেশী কে সংকোচনের কাজ চালিত রাখা। পেশী থেকে ক্যালশিয়াম পাম্প হলে পেশী শিথিল হয়।
- আমাদের হৃদপিণ্ডকে সঞ্চালিত করার জন্যে ক্যালশিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে । ক্যালসিয়াম হৃদপিণ্ডের পেশী গুলি শক্ত রাখতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের রক্ত ক্লট করে না। এ ছাড়াও ক্যালশিয়াম আমাদের রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- এ ছাড়াও ক্যালসিয়াম অনেক এনজাইম কে কাজ করতে অনেক সাহায্য করে। কিছু এনজাইম ক্যালশিয়াম ছাড়া দক্ষতার সাথে কাজ করে পারে না।
ক্যালসিয়াম এর অভাবজনিত লক্ষণ
শরীরে ক্যালশিয়াম কমে গেলে তাকে হাইপোক্যালসেমিয়া বলে। হাইপোক্যালসেমিয়া হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে। যেমন-
- হাড় দুর্বল হয়ে অস্টিওপরসিস , অস্টিওম্যালাসিয়া হতে পারে।
- পেশীর ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে।
- হাইপোক্যালসেমিয়া কখনো কখনো ক্যান্সার এর কারন হতে পারে।
- কিডনি এবং হার্ট সম্পরকিত বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে ।
- নখ এবং ত্বকের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়া ।
- ডিপ্রেশনের সঙ্গে হাইপোক্যালসেমিয়া এর সম্পর্ক রয়েছে ।
- ক্লান্তি অনুভুত হওয়া ।
ক্যালসিয়াম এর এর দৈনিক চাহিদা
ICMR 2020, এর তথ্য অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ক্যালসিয়াম এর চাহিদা 1000 mg , প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের 1000 mg এবং গর্ভবতী মহিলাদের 1200 mg ।