chloride

ক্লোরাইড এর উৎস, কাজ,অভাব এবং বৃদ্ধিজনিত লক্ষণ ও প্রয়োজনীয়তা

ক্লোরাইড একটি খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরে থাকে এবং এটি একধরনের ইলেকট্রোলাইট। এটি বাকি ইলেকট্রোলাইট যেমন – পটাশিয়াম, সোডিয়াম এর সঙ্গে মিলিত হয়ে কাজ করে। ক্লোরাইড শরীরে তরল এবং অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে।

ক্লোরাইড এর উৎস

ক্লোরাইড আমরা বিভিন্ন খাদ্যের মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকি। ক্লোরাইড এর প্রধান উৎস হল খাবার লবন , যাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সবজি যেমন – টমেটো, লেটুস, অলিভ ইত্যাদি থেকে আমরা ক্লোরাইড পেয়ে থাকি, যা পটাশিয়ামের সঙ্গে মিলিত থাকে। এছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে ক্লোরাইড মাংস, দুধ, ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকে। 

ক্লোরাইড এর প্রয়োজনীয়তা 

ক্লোরাইড শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও ক্লোরাইড পাকস্থলীর মধ্যে হজম শক্তি কে ঠিক রাখার জন্য খুবই জরুরি। এছাড়াও ক্লোরাইড, সোডিয়াম বা পটাশিয়ামের সাথে মিলিত হয়ে বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়াকে সচল রাখে।

ক্লোরাইড এর অভাবজনিত লক্ষণ 

শরীরে ক্লোরাইডের মাত্রা কমে গেলে যে লক্ষণগুলি দেখা যায় তা হল –

  • ডিহাইড্রেশন 
  • দুর্বলতা এবং ক্লান্তি
  • শ্বাস নিতে অসুবিধা 
  • ডাইরিয়া এবং বমি

এই সবকিছুর কারণ ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জল কমে যাওয়া।

ক্লোরাইড এর বৃদ্ধিজনিত লক্ষণ

শরীরে ক্লোরাইড বেড়ে গেলেও ডিহাইড্রেশন হয়। যার ফলে নানারকম হজমের সমস্যা এবং কিডনির রোগ দেখা দেয়। তাই শরীরে ক্লোরাইডের মাত্রা সঠিক রাখা খুবই প্রয়োজনীয়।

মানবদেহে ক্লোরাইডের চাহিদা 

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে ২৩০০ মিলিগ্রাম ক্লোরাইড প্রতিদিন প্রয়োজন। এই সংখ্যা কমে গেলেও যেমন শারীরিক ক্ষতি হতে পারে তেমনই বেড়ে গেলেও ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। তাই নিয়মিত সঠিক পরিমাণ ক্লোরাইড গ্রহণের জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক ডায়েট প্ল্যানের। ক্লোরাইডের মাত্রা শরীরে ঠিক আছে কিনা তা রক্ত পরীক্ষা ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমেও জানা সম্ভব। উপরে উল্লিখিত ক্লোরাইডের বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া লক্ষণগুলির মধ্যে আপনি যদি কিছু অনুভব করেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

You cannot copy content of this page