পুজোর সময়টা নিমম ভাঙার। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা, লেট নাইট, আড্ডা আর সঙ্গে প্রচুর খাওয়া-দাওয়া। এগুলো ছাড়া যেন ইনকমপ্লিট থাকে পুজোর মস্তি,আর এইসব অনিয়মের ফলও ভুগতে হয়। অ্যাসিডিটি, বদহজম বা শারীরিক অসুস্থতা এই সময় সঙ্গী হয়ে ওঠে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে আগে থেকেই সুরক্ষা নিতে হবে।এবারে আবার পুজোয় হতে পারে বৃষ্টি । আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী তাই সঙ্গে শুধু ছাতা বা বর্ষাতি রাখা নয়, ঘরে-বাইরের খাবারের মধ্যেও রাখতে হবে সামঞ্জস্য। না হলে, মাটি হয়ে যেতে পারে পুজোর আনন্দ। তাহলে কীভাবে সুস্থ থাকবেন পুজোর সময়?
◆ পুজোর সময় নানান বাহারী খাবারের লোভ সামলানো কঠিন। কিন্তু নিজের শরীর বুঝে অতিরিক্ত ঝাল মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
◆ মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করার সময় অবশ্যই জল রাখুন। প্রতিদিন যতটা জল খান তার থেকে বেশি জল খান পুজোর দিনগুলোয় এতে শরীর সতেজ থাকবে।
◆ হাইজিন মেনটেন করাটা অবশ্যই দরকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গা থেকে খাবার কিনে খাওয়াই ভাল।
◆ দিন হোক কি রাত প্রতিমা দর্শনে বেরলে ছাতা অবশ্যই রাখবেন । পুজোর সময় রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। তাই ব্যাগে ছাতা রাখতে ভুললে চলবে না।
◆ নবরাত্রিতে উপবাসের পর ফাস্ট ফুড খাওয়া একেবারেই চলবে না। এতে বদহজমের সমস্যা বেশি হয়।
◆ দুর্গা পুজো বলে কথা, সুতরাং বাঙালির বাড়িতে মিষ্টি তো থাকবেই পাতে। কিন্তু যতটা পারবেন কম পরিমাণে মিষ্টি খান। চিনি জাতীয় যে কোনও খাবারের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিন। তবে দশমীতে অবশ্যই করুন মিষ্টি মুখ।
◆ শরীরকে সুস্ত ও এনার্জেটিক রাখতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। তাই অনেক রাত পর্যন্ত প্যান্ডেলে ঘোরাঘুরি না করে একটু তাড়াতাড়ি ফেরার চেষ্টা করুন।
◆ খালি পেটে মদ্যপান নয়। ওয়াইন খেলে অসুবিধা নেই।বেশি খেলে হজমে গোলমাল হতে পারে।
◆ পূজতে এক বেলা বাইরে খাওয়া, একবেলা বাড়িতে খাওয়া উচিত । এক বেলা ননভেজ খাওয়া হল, আরেকবেলা ভেজ । এরকম ভাবে খেয়ে শরীর ঠিক রাখা যেতে পারে।
◆ ছোটোরা বাইরের খাবার খেতে চাইবে । তাদেরকে একটু লাগাম টেনে রাখাটা বড়দের দায়িত্ব । ছোটোদের শরীরের অনুপাতে জলের মাত্রা বজায় রাখা, ঠিকঠাক খাবার এবং বিশ্রামে রাখা প্রয়োজন।