গ্রীষ্মের এই সময়ে রোদের প্রখরতার কারনে আমাদের চারিপাশের টেম্পারেচার তুলনামুলক ভাবে অনেক বেশী বেড়ে গিয়েছে , গ্রীষ্মের এই প্রখরতা শুধুমাত্র যে দেশের বড় শহর গুলতেই দেখা যাচ্ছে তা নয় , দেশের ছোট ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলের অবুস্থাও প্রায় একই ।
অতিরিক্ত গরমের কারনে যখন আমাদের শরীরের টেম্পারেচার বেড়ে যায় তখন আমাদের শরীর টেম্পারেচার কে নরমাল রাখার জন্য ঘামতে শুরু করে । আর এই ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে সোডিয়াম , পটাশিয়াম , ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইলকট্রোলাইট এবং জলকে বের করে দেয় , তে কারনে আমাদের শরীরে দেখা দেয় ডিহাইড্রেশন।

আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন অথবা জলের অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন লক্ষন দেখা যায় যেমন – মুখ শুকিয়ে যায়, অনেক তৃষ্ণা পায়, কাজ করতে এনার্জি পাওয়া যায় না, মাথাঘোরা, প্রস্রাব এর বেগ কম আসে , প্রস্রাব গাড়ো ও গন্ধ যুক্ত হতে পারে।
আজকের এই লেখার মাধ্যমে ডিহাড্রেশন থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন সেই সম্পর্কে বলবো , আমি এমন কিছু খাবার দাবার এবং লাইফস্টাইল টিপসের কথা বলবো যে গুলো ফলো করলে আপনি এই গরমের মধ্যেও কোনো সমস্যার মধ্যে পরতে হবে না –
প্রথমত – শরীর কে হাইড্রেট রাখতে বেশী করে জল পান করুন এবং যে খাবার গুলোতে জলীয় ভাগ বেশি রয়েছে ( যেমন দই , তরমুজ , শশা , টমেটো, ডাব ,লেবু জাতীয় ফল ইত্যাদি ) সেগুলো প্রতিদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন । আপনি চাইলে লেবুর সরবত এবং স্যআলআড বানিয়ে খেতে পারেন।
দ্বিতীয়ত – হালকা রঙের ,ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করুন এবং রোদে বের হলে সানগ্লাস এবং টুপি পরে বের হোন আর অবশ্যই খালি পায়ে বেরোবেন না।
তৃতীয়ত – অযথা রোদে ঘোরাঘুরি করবেন না , বেশী প্রয়োজন হলে স্ক্রিন টাইপ অনুযায়ী সান স্ক্রিন লোসন ব্যবহার করুন , যা আপনার ত্বককে প্রখর রোদের হাত থেকে রক্ষা করবে ।
চতুর্থত – ব্যয়াম করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ২ গ্লাস জল পান করুন।
পঞ্চমত – নিজের শিশুকে কখনোই বন্ধ করা গাড়িতে রেখে যাবেন না।
ষষ্ঠত – আপনার শিশুরা প্রয়োজনীয় পানীয় গ্রহণ করছে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত থাকুন।
আর শেষ কথাটা হলো মদ্যপান থেকে নিজেকে বিরত রাখুন কারণ মদ্যপান আপনার শরীর কে আরও বেশী ডিহাইড্রেট করে দেবে ।