আমরা প্রতিদিন যা খাবার খাই তা থেকেই আমরা দৈনন্দিন জিবনের কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পাই । খাবার গ্রহনের পর ভিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের খাবার হজম হয়ে গ্লকুজে রুপান্তরিত হয় এবং রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয় যা আমাদের প্রানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে ।
প্রতিটা খাবার উৎসের হজম, শোষণ এবং শক্তি সরবরাহ করার ক্ষমতা এবং সময় সমান নয় । কিছু খাবার খুব দ্রুত হজম হয়ে গ্লকুজে পরিনত হয় এবং রক্তে গ্লকুজের সরবরাহ করে, আবার কিছু খাবার এর ঠিক বিপরীত ভাবে হজমে বেশী সময় নেয় এবং রক্তে গ্লকুজের মাত্রা ধীর গতিতে বাড়ায় ।
খাবারের এই ধর্মের উপর নির্ভর করে বিশেষজ্ঞরা খাবার কে শূন্য থেকে একশ ( ০ – ১০০) রেটিং দিয়ে সাজিয়েছেন যেখানে যে খাবার রক্তে গ্লকুজের পরিমান বাড়ানোর ক্ষমতা যত ধীর তাকে কম রেটিং এবং যার গ্লকুজ বাড়ানোর ক্ষমতা যত দ্রুত তাকে বেশি রেটিং দেওয়া হয়েছে ,আর এই রেটিং সূচিকে এক কথায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বলা হয় ।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে রেটিং কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে –
১) কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫ এর কম ।
২) মাঝারি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৬-৬৯ ।
৩) উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০ এর উপরে ।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সম্পর্কে জেনে রাখাটা সবার প্রয়োজন বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিক রোগী রয়েছেন তাদের জন্য। কারন এটি জানা থাকলে একজন ডায়াবেটিক রোগীর জন্য কোন খাবার গুলো ভালো এবং কোনগুলো বিপজ্জনক সেই সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবেন ।
আজকে এই লেখাতে কিছু খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দিয়ে দিলাম –
খাবারের নাম | গ্লাইসেমিক ইনডেক্স |
বার্লি | ২৮ |
ভুট্টা | ৫২ |
সেদ্ধ চাল | ৭৩ |
ব্রাউন রাইস | ৭২ |
সাগু | ৭৪ |
পাউরুটি ( ব্রাউন ) | ৭৪ |
পাউরুটি ( সাদা ) | ৭৫ |
মুশুর ডাল | ৩২ |
মটরশুঁটি | ৩৯ |
সয়াবিন | ১৬ |
আপেল | ৩৬ |
প্রসেসড খেজুর | ১০৩ |
কালো আঙ্গুর | ৪৩ |
সবুজ আঙ্গুর | ৫৯ |
কিউই | ৫২ |
কাঁচা আম | ৫১ |
কমলা | ৪৩ |
পাকা পেঁপে | ৬০ |
আনারস | ৫৯ |
তরমুজ | ৭৬ |
পাকা টমেটো | ১৫ |
মিষ্টিকুমড়া | ৭৫ |
ব্রকলি | ১০ |
বাধাকপি | ১০ |
সবুজ ক্যাপ্সিকাম | ১০ |
ফুলকপি | ৬ |
মাশরুম | ১০ |
পেঁয়াজ | ১০ |
গাঁজর | ১৬ |
বিট | ৬৪ |
মিষ্টি আলু | ৪৮ |
মহিষের দুধ | ৩৯ |
স্কিমড মিল্ক | ৩৭ |
কাজু বাদাম | ২৫ |
নারিকেল | ৪৫ |
তিসি ( ফ্লেক্স সিড ) | ৩৬ |
চিনা বাদাম | ১৪ |
আখরোট | ১৫ |
গ্লকুজ সিরাপ | ১০৩ |
মধু | ৬১ |