Vitamin

ভিটামিন কে ( Vitamin-k ) – এর উৎস, অভাবজনিত লক্ষণ, কাজ ও প্রয়োজনীয়তা

ভিটামিন কে ( Vitamin k ) হল চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় ভিটামিন। মানবদেহে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য, প্রয়োজনীয় প্রোটিনগুলির সম্পূর্ণ সংশ্লেষণের জন্য, ভিটামিন কে প্রয়োজন হয়। মুলত ভিটামিন কে (K) দুই প্রকারের হয়ে থাকে। শরীরের জন্য এই দু ধরনের ভিটামিন কে (K) এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। সাধারণত আমাদের দেহে উদ্ভিতজাত খাবার থেকে ভিটামিন K1 এবং প্রাণীজ খাবার থেকে ভিটামিন K2 এর যোগান হয়।

ভিটামিন কে ( Vitamin-k ) এর উৎস 

উদ্ভিজ্জ উৎস

সরিষা শাক, পালং শাক, বাঁধাকপি, টমেটো, ফুলকপি, মূলা, বিট, গম, বার্লি, জলপাই তেল, লাল মরিচ, কলা, গাজর, রসুনের পাতা, শতমূল।

প্রাণিজ উৎস

ছাগলের লিভার, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ, ডিমের কুসুম, সয়াবিন তেল এবং যকৃত।

ভিটামিন কে এর ( Vitamin k ) প্রয়োজনীয়তা

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে- ভিটামিন-কে ( Vitamin k ) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে কারণ এই ভিটামিনের মধ্যে আছে প্রদাহরোধী উপাদান এবং এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে কাজ করে আলঝেইমার, পারকিনসন ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে।

 রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে – কখনও আমাদের শরীরে কোন অংশ কেটে গেলে অথবা দুর্ঘটনাজনিত কনোও কারনে রক্তক্ষরণ হলে ভিটামিন কে ( Vitamin k ) রক্ত জমাট বাঁধিয়ে শরীর থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে । এরকম রক্ত জমাট না বাঁধলে শরীরে কোথাও কেটে গেলে আমাদের শরীর থেকে সব রক্ত বের হয়ে যেত ।

হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে – ভিটামিন কে ( Vitamin k ) হাড় কে মজবুত করে, হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

 ক্যান্সার প্রতিরোধ করে – ভিটামিন-কে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে, কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও কোষের ধ্বংস কে নিয়ন্ত্রন করে ।

পিরিয়ডের যন্ত্রনা কমায় – পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং সাথে আয়রন, ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি হয়, ফলে শরীরে খুব দূর্বলতা দেখ দেয় । কিন্তু ভিটামিন কে জাতীয় খাবার এর প্রতিকার করতে অনেকটা সহায়ক ।

দূর্বলতা ও দাঁতের ক্ষয় কমায় – ভিটামিন ( Vitamin k )কে আমাদের দাতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

Vitamin k sources

ভিটামিন কে ( Vitamin k ) এর অভাবজনিত লক্ষন

         ভিটামিন-কে এর অভাব জনিত রোগঃ-

           ১. ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ।

           ২. হাড় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ।

           ৩. রক্তপাত, রক্তক্ষরণ ।

           ৪. রক্ত তঞ্চন জনিত সমস্যা দেখা যায় ।

           ৫. হাইপোপ্রোথ্রোম্বিনেমিয়া দেখা যায় ।

ভিটামিন কে ( Vitamin k ) এর দৈনিক চাহিদা

নারীদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১২২ মাইক্রেগ্রাম ও পুরুষের ক্ষেত্রে দৈনিক ১৩৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে ( Vitamin k ) প্রয়োজন পড়ে।

ভিটামিন কে ( Vitamin k ) এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন কে ( Vitamin k ) প্রবেশ করলে তার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যেমন –

         ১. যকৃতের আকার বৃদ্ধি পাওয়া ।

         ২. শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ।

         ৩. অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ।

         ৪. শ্বাসকষ্টের সমস্যা ।

         ৫. পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, শরীরে ফুলে যাওয়া, নড়াচড়ায় সমস্যা ।

         ৬. চোখের পাতা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

You cannot copy content of this page

Scroll to Top