ভিটামিন বি6 হল একটি জলে দ্রবীভূত ভিটামিন যার রাসায়নিক নাম এর রাসায়নিক নাম পাইরিডক্সিন , অন্যান্য জলে দ্রবীভূত ভিটামিন এর মত এটিও আমাদের দেহে জমা হতে পারে না তাই এটি খাবার দাবারের মাধ্যমে আমাদের প্রতিদিন নিতে হয় ।
ভিটামিন বি৬-এর উৎস
প্রাণীজ উৎস গুলি হলোঃ
দুধ, ডিম, মুরগীর মাংস, মাছ
উদ্ভিজ্জ উৎস গুলি হলোঃ
কলা, ব্রাউন রাইস, কাবুলি চানা, পালং শাক, সবুজ মটরশুঁটি, গোটা শষ্য, সয়াবিন, ছোলা, আলু
ভিটামিন বি৬ – এর অভাবজনিত ফল গুলি হলঃ
১. অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বমি হওয়া।
২. রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা কমে যায়, ফলে অ্যানিমিয়া দেখা দেয়৷
৩. ত্বকের বিভিন্ন স্থানে লাল দাগ দেখা যায়।
৪. স্মৃতিশক্তি কমে আসে।
৫. খিটখিটে ভাব লক্ষ্য করা যায়।
৬. প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোমের সমস্যা দেখা দেয়।
মানবদেহে ভিটামিন – বি৬ এর কাজ গুলি হলঃ
১. রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে৷
২. মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি দেয়, মন ভালো রাখে।
৩. হার্ট ও চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়৷
৪. গর্ভাবস্থায় মর্ণিং সিকনেসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
৫. গর্ভবতী মহিলাদের বমিভাব নিয়ন্ত্রণ করে।
৬. পিরিয়ডসের সময় মেয়েদের প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করে৷
৭. স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে ৷
৮. এটি শরীরের নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে পরিচিত।
মানবদেহে ভিটামিন-বি৬ এর দৈনিক চাহিদাঃ
১. ৭-১২ মাস বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে — ০.৩ মিলিগ্রাম
২. শিশুদের ক্ষেত্রে — ০.৫-১.০ মিলিগ্রাম৷
৩. কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে — ১.৩ মিলিগ্রাম।
৪. গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে — ১.৫-১.৬ মিলিগ্রাম।
৫. স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে — ২.০ মিলিগ্রাম।
৬. প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে — ১.৩-১.৪ মিলিগ্রাম৷
৭. ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে — ১.৭ মিলিগ্রাম৷
)
Born on 10th December, 1992 in a small town of West Bengal. She has completed her bachelor degree in Molecular Biology, and also she sacrificed her stable career for writing. Since the childhood, she has a keen interest in writing. Presently she is working as a Script writer in Bengali cine media as well as a content writer.. This bookworm lady has been awarded so many times for her poetry.